![]() |
তপন কুমার দাস মোবাইল : 94343880810 |
July 28, 2014
প্রেম, স্বাধিকার ও স্বপ্নভঙ্গ / তপন কুমার দাস
প্রবন্ধ : প্রেম, সভ্যতার বিম্বিত অভিমুখ / অঞ্জন কুমার দাস
![]() |
অঞ্জন কুমার দাস মোবাইল : 9832078595 |
প্রমিথিয়ুস যেদিন মানুষের জন্য এনে দিয়েছিল আগুন, সেই শুরু সভ্যতার বলিষ্ঠ পথচলা। তারপর মানুষ এগিয়ে নিয়ে চলেছে সভ্যতার চাকা নতুন নতুন পথ দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মাত্রিকতায়। এই আগুন জ্বালাতে শেখাই মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে নতুনতর জীবনের দিকে এগিয়ে যেতে। এই সংগ্রামী এগিয়ে যাওয়ার মধ্যেই কোন এক অবসরে তার মস্তিষ্কে জাগ্রত হয় এক অনির্বচনীয় নক্ষত্রের আভাস। দুটি শরীরের ভিন্ন মাত্রিক আকর্ষণ পরস্পরকে প্রবল আকাঙ্খার সন্ধান দিল। যৌনতার স্বাদে সে প্রথম অনুভব করল ঈশ্বরকে। সে চিনতে শিখল কামের স্বরূপ। কামই আদি রিপু। সভ্যতার মূল প্রাচীন সত্য। এই কাম থেকে প্রেমের সিঁড়িতে উত্তরণ ঘটতে বহুকাল সময় লেগেছে।
ভাওয়াইয়ার দর্শন / বিনোদ বিহারী বর্মা
ভারত ইতিহাসের মধ্যযুগে নবদ্বীপ বাঙলায় যখন শ্রীচৈতন্যদেবের আবির্ভাব ঠিক সেই সময়েই উত্তর-পূর্ব ভারতের কামরূপ কামতা রাজ্যে প্রবল পরাক্রান্ত মহাজন নরনারায়ণের ভ্রাতা বীর সেনাপতি চিলারায়ের দীক্ষাগুরু শংকরদেব কুচবিহার শহরের অনতিদূরে মধুপুর ধামে তাঁর সত্র স্থাপন করে এই অঞ্চলের রাজবংশী ক্ষত্রিয় অধিবাসীগণকে বৈষ্ণব ধর্মের মন্ত্রে আপ্লুত করেন। স্থানীয় অধিবাসীদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক জীবনের এলো উত্তরণ। মনোশিক্ষা দেহতত্ত্ব, গুরু-শিষ্য ভাবধারা এবং কৃষ্ণপদে নিজেকে সমর্পণ করার ভাবদর্শন প্রভাবিত করলো এই অঞ্চলের মাটির মানুষের প্রাণের গান ভাওয়াইয়াকে। জীবনের জটিল প্রশ্নগুলির উত্তর খোঁজা শুরু হল ভাওয়াইয়ার দার্শনিক চিন্তাধারায়।
দেহতাত্বিক ভাওয়াইয়ার মাধ্যমে সত্যানুসন্ধানের সুরটি খুঁজে পাওয়া যায়। আত্মপোলব্ধি ঘটলে মনের ভেতরেই মেলে মনের মানুষ ––
‘‘দেহার আয়না খুলি দেখিলে হয়
দেহার পাট খুলি দেখিলে হয়
মনের মানুষ কোনটে পাওয়া যায় ?’’
প্রবন্ধ : উত্তর দিনাজপুরের লৌকিক সাহিত্যের আর্থ-সামাজিক পটভূমি / ড. পুষ্পজিৎ রায়
লোকসংস্কৃতির গভীরে আছে এক সৃজনশীল সচল সত্তা। এই সত্তার গভীরে থাকে গ্রামীণ মানুষের সৃষ্টিধর্মিতার সত্যিকারের পরিচয়। পরিচয়টি পেতে হ’লে চাই নির্মোহ অনুসন্ধিৎসা। আগ্রহের ঐকান্তিক উদারতা। বিচার বিশ্লেষণের জন্য বিজ্ঞানসম্মত যুক্তিবাদিতা। লোক সংস্কৃতিকে দেখতে হবে তার স্বভাবের সামগ্রিকতায়, টুকরো টুকরো করে দেখতে গেলে তাকে পাওয়া যায় না।
কারণ Culture is used in a very wide sense’। শুধু তাই নয়, নৃতাত্ত্বিকেরা মনে করেন ‘Culture’ শব্দটি Whole field of human life’-কে ‘Cover’ করে। এই জন্যই দেখা যায়, লোকসংস্কৃতির বড় বিশেষত্ব হচ্ছে সর্বজনগ্রাহ্যতা। সমবেত আবগে, আকাঙক্ষা ও আগ্রহের ভেতর দিয়ে গড়ে ওঠে লোক-সংস্কৃতির সৃজনশীলতা। এইখানেই লোকসংস্কৃতির সর্বজনস্বীকৃতির ইতিকথা।
প্রবন্ধ : উত্তর দিনাজপুর জেলার লুপ্তপ্রায় লোকসংস্কৃতি / মহঃ জালালউদ্দিন আহমেদ
উত্তর দিনাজপুর জেলার কথা বলতে গেলেই প্রথমেই আসে অবিভক্ত দিনাজপুর ও পশ্চিম দিনাজপুর জেলার প্রসঙ্গ। ‘দিনাজপুর’ কথা টির সাথে অতীতে ফেলে আসা অনেক ইতিহাস জড়িয়ে আছে। সেই স্মৃতি বিজড়িত ইতিহাস আলোচনা আমার প্রতিপাদ্য বিষয় নয়। তাতে বর্তমান লেখাটির কলেবর অনেকটা বৃদ্ধি পাবে। মূলতঃ দিনাজপুর জেলাটি ১৯৪৭ সালে বিভাজিত হয় এবং তার ফল স্বরূপ জন্ম নেয় পশ্চিম দিনাজপুর জেলা। সুদূর দার্জিলিং জেলার সন্নিকটে সোনাপুর থেকে হিলি থানা পর্যন্ত যার বিস্তৃতি ছিল। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কারণে জেলাটিকে দুই ভাগে ভাগ করতে হয়। উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা নামে ১৯৯২ সালের ১লা এপ্রিল ঐতিহাসিক বিভাজন হয়। প্রশাসনিক বিভাজন হওয়া সত্বেও শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক মানচিত্রে এই তিন জেলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আজও অভিন্ন। এক কথায় বলতে গেলে একই সংস্কৃতির লালনভূমিই হচ্ছে ঐতিহাসিক ‘দিনাজপুর’।
পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্রে উত্তরবঙ্গ বলে কোন নির্দিষ্ট এলাকা চিহ্নিত না থাকলেও বহুকাল ধরেই লোকমুখে উত্তরবঙ্গ নামটি বহুল প্রচলিত হয়ে আসছে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে ছয়টি জেলা উত্তরবঙ্গ নামে প্রচলিত।
গল্প / সুদূরের পিয়াসী / নিশিকান্ত সিন্হা
— ভাবছি সেদিনের ঘটনা, যা আমার জীবনটাকে ওলট পালট করে দিয়েছে।
— ভুলে যাও সে সব। নিজের ভাবনাচিন্তা অন্যদিকে ঘুরিয়ে নেবার চেষ্টা কর। মনটা ভাল থাকবে।
— তুমি ঠিকই বলছ। কিন্তু মনটা তো হাতের মুঠোয় থাকে না, থাকে বুকের নিভৃত কোণে। প্রান্তিক তিস্তার হাতটা নিজের বুকে নিয়ে বলল, তুমি তো মনটাকে নিয়ে গেছ, ফিরিয়ে দাও।
প্রান্তিকের বুকে নিজের হাতটা সরিয়ে নিতে গিয়েও সরাতে পারল না। বুকের ধুক্ ধুক্ শব্দে তার সর্বাঙ্গে এক ভাল লাগার অনুভূতি ঘুরে-ফিরে বেড়াচ্ছে। তার ইচ্ছা করছিল প্রান্তিকের বুকে নিজেকে সঁপে দেয়। সবকিছু উজার করে দেয়। পারে না। শুধু ফিসফিস্ করে বলল, এভাবে কতদিন চলবে ? এর পরিণামই বা কী ?
প্রবন্ধ : ইসলামপুর মহকুমার লোকসংস্কৃতির খন্ডচিত্র / নির্মল দত্ত
![]() |
নির্মল দত্ত মোবাইল : 94743-85123 |
প্রবন্ধ : ঠাকুর পঞ্চানন বর্মণ, ক্ষত্রিয়ায়ন আন্দোলন এবং বর্তমান রাজবংশী সমাজ / পার্থ সেন
ষোড়শ শতকে মহারাজ বিশ্ব সিংহ কামতা-কোচবিহার রাজ্য স্থাপন করেন। দরং রাজবংশাবলী, আসাম বুরুঞ্জিতে কোচরাজাদের রাজবংশী হিসাবে উল্লেখ করা হয়নি। ১৯১৪ খ্রীষ্টাব্দে ঘনশ্যাম দলাই তাঁর কাব্যগ্রন্থে বিশ্বসিংহকে প্রথম ক্ষত্রিয় বংশজাত বলে উল্লেখ করেন। কামতা-কোচবিহার রাজ্যের জনগোষ্ঠী কোচ-মেচ, কাছাড়ি ইত্যাদি নামে পরিচিত ছিল। মহারাজা বিশ্ব সিংহ রাজ্য স্থাপন করার পর কালীচন্দ্র ভট্টাচার্য নামক জনৈক ব্রাহ্মণের নিকট হিন্দু শাস্ত্রমতে শৈবধর্মে দীক্ষিত হন। বিশ্ব সিংহ কনৌজ, কাশী প্রমুখ স্থান থেকে ব্রাহ্মদের কোচবিহার রাজ্যে আসেন। মহারাজা নরনারায়ণের সময় সিদ্ধান্তবাগীশ বাংলার রঘুনন্দনের মত ১৮টি স্মৃতিশাস্ত্র রচনা করেন। তাঁরই নির্দেশে কামতা-কোচবিহার রাজ্যে বর্ণাশ্রম প্রথা চালু হয়। স্থানীয় জনজাতি ব্রাহ্মণ্যধর্মের এই আধিপত্য মেনে নেয় নি। তাই ১৫৪৬ খ্রীষ্টাব্দে মহারাজা নরনারায়ণ তাঁর রাজ্যে কাছাড়ি, মেচ কোচ জনগোষ্ঠীকে আদিম উপজাতি পদ্ধতি অনুসারে শিবের উপাসনা করার অধিকার দেন। মহারাজা নরনারায়ণ নিজেও ঐ পদ্ধতিতে শিবের আরাধনা করেন। এই ভাবে মহারাজা নারনারায়ণ ব্রাহ্মণ্য ধর্মের সাথে ইন্দো-মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় বিরোধের মীমাংসা করেন। মহারাজা নরনারায়ণের সময় শঙ্করদেব প্রবর্তিত বৈষ্ণবধর্ম নবস্থাপিত কামতা-কোচবিহার রাজ্যে সামাজিক স্থিতিশীলতা আনতে সক্ষম হয়। আবার কোচবিহার রাজ্যে সংস্কৃত্যায়নের প্রক্রিয়া বৈষ্ণব ধর্মের মধ্য দিয়েই পূর্ণ হয়।
July 21, 2014
গল্প : চোরাবালির কাছাকাছি / নিশিকান্ত সিন্হা
মোবাইলের রিংটোন অনেকক্ষণ বেজে যাবার পর থেমে গেল। সাইনি রান্নাঘর থেকে ছুটে এসে মিসড্ কল খুলে দেখে — প্রিয়ম।
ডায়াল করল। ভেসে এল গান — তুমি যে কে আমার ... তুমি তা বোঝ না ...। অর্ধেক গানের মাঝে প্রিয়মের গলা।
— হাই ডার্লিং!
— কী সব গান লাগিয়েছ মোবাইলে ?
— কেন শুনতে খারাপ লাগছে !
— খারাপ লাগবে কেন। তবে আমি ছাড়া অন্য কেউ শুনলে ... ফোন করেছিলে কেন?
— অফিস ট্যুরে কলকাতা যাচ্ছি।
— বাড়ি আসার কথা ছিল না ?
— ইয়ার এনডিং চলছে ম্যাডাম। বাড়ি যাওয়া কি সম্ভব ? আগামী কাল পি আর টি মিটিং। রেভেন্যু ফল করছে, কেন টার্গেট অ্যাচিভ হয়নি। লাস্ট মান্থের ফলো আপ অ্যাকশন করেছেন কি না। নাউ টেল আস এন্ড সাবমিট ইয়োর এরিয়া প্রোগ্রাম রিপোর্ট ইন ডিটেইলস্। উফ্ পাঁচজন হাই পাওয়ার কমিটি মেম্বারদের সামনে যেন চাকরির ইন্টারভিউ দিচ্ছি ! এক নাগাড়ে বলে থামল প্রিয়ম।
গল্প / আত্মজ / অরুণেশ্বর দাস
![]() |
অরুণেশ্বর দাস Mobile No. 9832432375 |
তপনবাবুর দুই ছেলে। একজন কাজ করে কল্যাণীতে। সরকারী চাকুরে। লেখাপড়ায় ভালো ছিল, ভালো কাজও পেয়েছে। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে থাকে ওখানে। ছেলেমেয়েরা ছোট। বড় ছেলে থাকে নিজের কাছে। স্কুল ফাইনাল পাশ করতে পারেনি। আর পড়াশুনাও করেনি। তখন সংসারের অবস্থা মোটেই ভালো ছিল না। দু-দুটো বোনকে বিয়ে দেবার পরোক্ষ দায়িত্ব ছিল তনুময়ের উপর। বাপ বেটা মিলে সবই একে একে সামলে নিচ্ছিলেন সবকিছু।
July 6, 2014
গল্প / কাঠবেড়ালি / ভবেশ চন্দ্র দাস
![]() |
ভবেশ চন্দ্র দাস Mobile No. 9932759503 |
— ওটা কাঠবেড়ালি। নরেন বলে
— মা আমার কথাটা ভালো করে শোনো। সুনীতার সাথে বিয়ের ব্যাপারটা ঠিক করে ফেলেছি।মা এক জোড়া বালা বের করে সুনীতাকে বিয়ের আশীর্ব্বাদ হিসেবে নরেনকে দেয়।
Subscribe to:
Posts (Atom)