![]() |
ভবেশ চন্দ্র দাস Mobile No. 9932759503 |
— ওটা কাঠবেড়ালি। নরেন বলে
— মা আমার কথাটা ভালো করে শোনো। সুনীতার সাথে বিয়ের ব্যাপারটা ঠিক করে ফেলেছি।মা এক জোড়া বালা বের করে সুনীতাকে বিয়ের আশীর্ব্বাদ হিসেবে নরেনকে দেয়।
— মা তোমাকে সাথে রাখতে পারবো না। জিনিসপত্রের দাম এত বেশি যে তিনজনের খরচ চালাতে পারবো না।অসুস্থ মা আবার বলে : ওটা কী ?— ওটা কাঠবেড়ালি। মা, তুমি আমার ব্যাপারটা একটুও শুনছ না। নরেন একটু উত্তেজিত হয়ে বলে।অসুস্থ মা আবার জিজ্ঞেস করে
— ওটা কী ? নরেন ভীষণ ধমকের সুরে বলে
— কাঠবেড়ালি।অসুস্থ মা কাঁপতে কাঁপতে উঠে দাঁড়ায়।নরেন
— তুমি আবার কোথায় চললে ?
মা — একটি খাতা বের করে নরেনকে একটু জোরে পড়তে বলে।নরেন পড়ে : আজ আমার ছেলের বয়স তিন বছর।
কাঠবেড়ালকে দেখে জিজ্ঞেস করে — ওটা কী ? এইভাবে ২১ বার কাঠবেড়ালি সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করেছিল। আমি চিনিয়ে দিয়েছিলাম ২১ বারই। উত্তেজিত না হয়ে।অসুস্থ মা তাই আজ রাগে ঘৃণায় চলে যাচ্ছে।নরেন হালদার ভুল বুঝতে পেরে মায়ের পা ধরে ক্ষমা চায়।
নরেন— মা, সত্যি তুমি স্নেহময়ী। তোমার স্নেহের কাছে সারা পৃথিবীর ধনদৌলত যথা খ্যাতি ঐশ্বর্য্য কিছুই নয়। মা, আমাকে ক্ষমা করে দাও।