July 6, 2014

গল্প / কাঠবেড়ালি / ভবেশ চন্দ্র দাস

ভবেশ চন্দ্র দাস
Mobile No. 9932759503
নরেন হালদার আর তার বয়স্কা অসুস্থ মামা পারকিনসন রোগে আক্রান্তসব জিনিসের দাম উর্দ্ধমুখীবাড়িতে আয় তেমন নেইখাওয়া আর মায়ের ওষুধপত্রে প্রতি মাসে কিছু না কিছু ধার হয়েই যায়এইভাবে জীবনটা তিল তিল করে শেষ করা ছাড়া আর সংসারের জন্য কিছুই করা যাবে নাতাই নরেন এবার সুনীতাকে বিয়ে করবে বলেই মনস্থ করে ফেলেসামনেই পার্কমাকে সুনীতার সঙ্গে বিয়ের ব্যাপারটা একেবারে চুকিয়ে নেবার  জন্য সেখানেই ডাকে। নরেন হালদার মা, সুনীতার সাথে বিয়ের ব্যাপারটা একেবারে পাকা করে ফেলেছিঅসুস্থ মা  (পারকিনসন রোগে আক্রান্ত) : ওটা কী ?

ওটা কাঠবেড়ালি। নরেন বলে 
মা আমার কথাটা ভালো করে শোনোসুনীতার সাথে বিয়ের ব্যাপারটা ঠিক করে ফেলেছিমা এক জোড়া বালা বের করে সুনীতাকে বিয়ের আশীর্ব্বাদ হিসেবে নরেনকে দেয়

মা তোমাকে সাথে রাখতে পারবো নাজিনিসপত্রের দাম এত বেশি যে তিনজনের খরচ চালাতে পারবো নাঅসুস্থ মা আবার বলে : ওটা কী ?ওটা কাঠবেড়ালিমা, তুমি আমার ব্যাপারটা একটুও শুনছ নানরেন একটু উত্তেজিত হয়ে বলেঅসুস্থ মা আবার জিজ্ঞেস করে 
ওটা কী নরেন ভীষণ ধমকের সুরে বলে 
কাঠবেড়ালিঅসুস্থ মা  কাঁপতে কাঁপতে উঠে দাঁড়ায়নরেন 
তুমি আবার কোথায় চললে
মা একটি খাতা বের করে নরেনকে একটু জোরে পড়তে বলেনরেন পড়ে :  আজ আমার ছেলের বয়স তিন বছর। 
কাঠবেড়ালকে দেখে জিজ্ঞেস করে ওটা কী ? এইভাবে ২১ বার কাঠবেড়ালি সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করেছিলআমি চিনিয়ে দিয়েছিলাম ২১ বারইউত্তেজিত না হয়েঅসুস্থ মা তাই আজ রাগে ঘৃণায় চলে যাচ্ছেনরেন হালদার ভুল বুঝতে পেরে মায়ের পা ধরে ক্ষমা চায়
নরেন— মা, সত্যি তুমি স্নেহময়ীতোমার স্নেহের কাছে সারা পৃথিবীর ধনদৌলত যথা খ্যাতি ঐশ্বর্য্য কিছুই নয়মা, আমাকে ক্ষমা করে দাও