শব্দের উঠোনে দাঁড়িয়ে তিনি পুড়ে যাচ্ছিলেন
অস্থিরতার গনগনে আগুনে—
নিঃশেষ হবার আগে বিকেলের নরম রোদ
ঝুরঝুরে বালির মতো ভেঙে পড়লো হাওয়ায়,
মিউজিয়ামের সিঁড়ি দিয়ে বৃষ্টি গড়িয়ে গড়িয়ে
মুক্তো—
পাখির পালকের মতো হাল্কা ভাসমান
মেঘের শরীর ছুঁয়ে ছুঁয়ে ভোরের আকাশ—
উত্তরসূরীদের জন্য সিন্দুকে ভরে রাখলেন তিনি
সহজাত স্নেহ-ভালোবাসা, কিছু সম্ভাষণ,
আমন্ত্রণ জানিয়ে বুকের কাছে টেনে আনলেন সকালের
রোদ;
দরজা খোলা রেখে বিক্ষিপ্ত মেঘ আকাশের দিকে
ছড়িয়ে দিলেন মুঠো মুঠো সুখ বর্দ্ধিত উচ্ছ্বাসে—
তখুনি সমুদ্রের মতো অতলান্ত তার শঙ্খ চোখ
বিদ্যুৎ চমকে আলোকিত করেছিল পৃথিবী;
ভালো থাকার এমন মহার্ঘ মুহূর্ত্তে
লাজুক সেই মেয়ের দু’চোখ বন্দী হল হাতের
তালুতে—
সেদিন সন্ধ্যে গড়িয়ে রাত, বৃষ্টিতে ওরা ভিজেছিল—
––––––––––––––––––––––
বিবর, এপ্রিল ২০০৫
No comments:
Post a Comment