September 4, 2014

অঞ্জন কুমার দাস-এর কবিতা

ভালোবাসা

ভালোবাসা চিবুকে অনাহূত ঈশ্বর
ভালোবাসা দু’হাতে নিঃস্ব হতে চাওয়ার        
সুখ


সারা জীবনের প্রাপ্তি

আমার সকল মৌনতা
মুখর তোমার হাসিতে






একটি সম্পূর্ণ প্রেমের কবিতা

তোমার সবটুকু নিয়ে  
তোমাকে ভালোবাসি  
আমার সবটুকু দিয়ে



কবি
সৃষ্টিতে তোমার মুক্তির আস্বাদ ও আনন্দ
ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ে তুমি স্নিগ্ধ জলপ্রপাত
আনন্দঘন মুহ্ূর্তগুলি শিশির মুদ্রিত তৃষা



তুমি
আমার দিকে তাকিয়ে আছো কেন ?



ধাঁধাঁ
তোমাতে তন্ময় হয়ে আছে হৃদয় আমার
সৃজিতা, তুমি কি তন্ময়কে চেনো ?



রাত্রি তোমাকে পুনর্বার

সূর্য প্রণামের মতো মনে পড়ে এক অফুরন্ত নদী...    
রাত্রি তোমাকে
সমস্ত নির্ভার শব্দমালার দখল শুধু তোমার জন্য।
নক্ষত্রে ঋজু আহ্বানে
তুমি এগিয়ে আসো নীল শূন্যতা ঠেলে।
এই নাও তোমার শরীর
কবিতা হয়ে ডুবে  যাও ... ...
‌অক্ষর বালিকা তুমি।



নতুনের কাছে দাঁড়াও সপাট

স্বপ্নাশ্রয়ের ভেতর তোমার এত কাছে দাঁড়িয়ে
অনাঘ্রাত আতাফলের গন্ধে মাখি হৃদয়
পরতে পরতে সম্ভাষণ জাগায় তোমার
সামান্য সাদা টিপ, অল্প ওড়াওড়ি, চিকন কবন্ধ ফুল
দীর্ঘ অপলক চোখ, বন্য গোলাপের ন্যায় ঠোঁট।


কথারা খই হয়ে ফোটে, প্রতিটি বাক্যবন্ধে উড়ে যায়  যুঁইয়ের পাপড়ি
হৃদয়ে বিদ্ধ হয় আপাত অর্থহীন কথামালা।
গতজন্মের স্মৃতি জানিয়ে যায় এসব আসলে প্রেমের অলীক প্রস্তুতি।
অলৌকিক সন্ধ্যেবাতি  জ্বেলে যদি
এমনভাবেই তোমাকে পাই জলের মতো নিবির
অনাঘ্রাত আতাফলের গন্ধের মতন রোজ
তবে আত্মবিসর্জন দিয়ে তোমার দিকেই
গড়িয়ে দেব আমার সমস্ত  অহংকার ও যৎসামান্য জলপদ্য।
এসো রাত্রি, আমার আরও কাছে
এসো, এসো আমরা মিশে যাই পরস্পর
বাতাসে কামিনী  ফুলের গন্ধের মতো।
জন্মান্তরের অপেক্ষা মিথ্যে প্রমাণ করি নতুন প্রেমে।



অভাব জেনে তবে এসো

কিছুই রেখো না আনুপূর্বিক দ্বিধা       মনের মধ্যে
জলের কাছে এগিয়ে  গিয়ে জেনে নাও
গভীরতা কতটুকু।

পরে কিন্তু কিছুই বলতে পারবে না
যে –– ‘আমি তো ডুব-সাঁতার শিখিনি।
বাঁশ-বাতার সংসারে ছিলাম না কোনদিন
চতুর প্রেমিক তুমি, ফুসলিয়ে নিয়ে এলে
আমায় জ্যোৎস্নাবনে।

সত্যি বলছি , মিথ্যে অহংকারের দিকে
নিয়ে যাইনি  কোনদিন  কাউকে।

তুমি সব অভাব জেনে তবে এসো আমার প্রেমের কাছে।
কিছুই রেখো না আনুপূর্বিক দ্বিধা মনের মধ্যে।



 নিজের জন্য লেখা কবিতা

মর্মমূলে  মৌতাত   মতিচ্ছন্ন গ্রন্থিময় স্ফটিক
দ্যুতির বিভায় উদ্ভাসিত দিগ্বিদিক
বাহ্য যা কিছু  সব দৃষ্টিগোচর পর্দাপালন।

পর্দানসীন  ভেতর জানালা
অন্ধকার ঘর-বাহির।

কাকে কি বোঝাব !
বরঞ্চ  নিজের ভেতর নিজেকে রাখি
সঙ্গেপন সুখের মতো।
কাউকে দূরে এগিয়ে দিয়ে
একলা পথের ধুলোবালি।

––––––––––––––––––––––
কবিতাগুলি অঞ্জন কুমার দাস-এর কবিতা সংকলন 'নতুনের কাছে দাঁড়াও সপাট-এর অংশ।

No comments: