অনিন্দিতা, কান্না দাও
তোমাকে পেয়েও অজস্র বসন্ত
নীরব
প্রেমকথা
নিরন্তর অস্থির চোখে তুমি বিহীন
গোটা
ভূমন্ডল নিবিড় দেখছি
পাশের বাড়ি ঝম্ঝমিয়ে বৃষ্টি
আমার বিষন্ন দুপুরগুলোও অস্থির
শ্রাবণ
মেখে আসতে চায় ও-বাড়িতে।
কত কত কষ্টকথা কত কত উদাস
বিকেল ভিসুভিয়াস
ব্যর্থ প্রেমিক
গুমোট ভাষা-অক্ষরেরা কড়মড়
ভাঙছে হৃদয়ের প্রতি পৃষ্ঠাতে পৃষ্ঠাতে
অনিন্দিতা, একটু কান্না হবে ?
মনখারাপের ডাকচিঠি
(আল্লা মেঘ দে,
পানি দে)
আমার বুকের সবুজ নিধন
খরায় ফাটছে নরম ভুঁই
পাঁকাল শরীর লিখছি চিঠি
শ্রাবণ হয়ে নামিস তুই।
øান সেরে নিক চড়–ই পাখি
আগুন বুকে হিম পড়–ক
বৃষ্টিবনে মনে মনে
দুই চড়–ইয়ে গান ধরুক।
জানলা খোলা। হলদে দুপুর
ব্যর্থ প্রেমের বাক্যালাপ
ভর দুপুরের বইয়ের পাতায়
এ্যাতো এ্যাতো মন খারাপ।
তোমাকে দেখব জন্য
তোমাকে দেখব জন্য
১২
ঘন্টার সমতল সকাল
শেষ
না হতে চাওয়া আত্লান্তিক
তোমাকে দেখব জন্য
ভোরবেলাকার
পেলব মুখভর্তি
অস্বাভাবিক
অস্থিরতা;
তোমাকে
দেখব জন্য
তোমাকে দেখব জন্য
এক
মুহূর্ত বৃষ্টিতে ভিজে সুখ নেই
দগ্ধ
দুপুরকার জান্লা দিয়ে আসা
প্রশান্তি-কেও
আগাছা আগাছা ঠেকছে।
নিখোঁজ ফুল-দুপুর
তোর দু’চোখে চৈত্রদিনের রোদ
সুখ পোড়ে মোর বুক পোড়ে মোর বোধ;
তোর দু’হাতে নিখোঁজ রাতে
হারোল্লাসে
ফুল হয়েছিস!
আমার
তাতে কি যায় আসে।
––––––––––––––––––––––
বিবর, এপ্রিল ২০০৫
No comments:
Post a Comment